EN

What Are Benefits I Shall Get And How My Risks Are Managed?

What Are Benefits I Shall Get And How My Risks Are Managed?

অনেক বিনিয়োগকারীর  কাছ থেকে সঞ্চয় (savings) সংগ্রহ করে একটি মিউচুয়াল ফান্ড /ইউনিট ফান্ড গঠিত   হয়। সংগ্রহ করা অর্থ বা তহবিল তারপর  সিকিউরিটিজ  অর্থাৎ- আইপিও (IPO),  স্টক (Stock), বন্ড (Bond)-এ বিনিয়োগ করে অ্যাসেট ম্যানেজার বা সম্পদ ব্যবস্থাপক । সিকিউরিটিজ থেকে আসা -রিটার্ন (লভ্যাংশ এবং মূলধনী লাভ) আপনার কাছে ফেরত দেওয়া হয় বছর শেষে।

সম্পদ ব্যবস্থাপক একুশ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড আপনার পক্ষ থেকে মিউচুয়াল ফান্ড গঠন করে বিনিয়োগ করবে।

মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আপনি আপনার আংশিক মালিকানা অনুযায়ী রিটার্ন পাবেন।

মিউচুয়াল ফান্ডে আপনার বিনিয়োগ, আপনি যে কোন সময় আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে নিট সম্পদ মুল্যে [Net Asset Value] বিক্রয় (encashment) করতে পারবেন।

মিউচুয়াল ফান্ড দুই ধরনের: ক্লোজ এবং ওপেন এন্ড (একে ইউনিটফান্ডও বলা হয়)।

আমাদের দেশে-  ক্লোজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড ঢাকা/চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত এবং বেচা-কেনা করা হয়।

বিষয়

ওপেন এন্ড ফান্ড / ইউনিটফান্ড

ক্লোজ এন্ড মিউচুয়াল ফান্ড

তহবিলের আকার

অসীম (unlimited)। অ্যাসেট ম্যানেজার বিনিয়োগকারীদের চাহিদার উপর নির্ভর করে তহবিলের আকার বৃদ্ধি করতে পারেন।

সীমিত। তহবিলের আকার ফান্ড গঠনের সময় নির্ধারণ করা হয়।

তহবিলের মেয়াদকাল

তহবিলের কোন মেয়াদকাল (maturity period) নেই।

বাংলাদেশে সাধারণত ১০ বছর। সাধারণভাবে বলতে গেলে,  মেয়াদকালের পর, তহবিল অবসায়ন করা হয় অথবা ওপেন এন্ড ফান্ডে রূপান্তরিত করা হয়।

ক্রয় এবং বিক্রয় প্রক্রিয়া

আপনি অ্যাসেট ম্যানেজারকে নির্দেশনা প্রদান করে NAV (নেট অ্যাসেট ভ্যালু)-তে যে কোন সময় ইউনিট ফান্ড ক্রয়/বিক্রয় করতে পারেন।

আপনাকে বাজার মূল্যে (market price) ডিএসই/সিএসইতে ফান্ড কিনতে এবং বিক্রি করতে হবে।

ন্যায্য মূল্য

আপনি আপনার বিনিয়োগের প্রকৃত মূল্য পাবেন যেটি হচ্ছে NAV। বিনিয়োগকারীদের সম্পদ এই মূল্য পদ্ধতি দ্বারা বেশি সুরক্ষিত।

বাজার মূল্য এবং ন্যাভ এক নয় সম্ভাবনা আছে। আপনি হয়তো আপনার টাকার আসল মূল্য অর্থাৎ   ন্যাভ পাবেন না।

মূল্য পদ্ধতি (pricing mechanism) এর ভিত্তিতে, ইউনিট ফান্ড ভাল।

কিন্তু এটা সম্পদ ব্যবস্থাপকের কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে । তারা দীর্ঘমেয়াদী ধারাবাহিকভাবে কত রিটার্ন প্রদান করতে সক্ষম হবে সেই দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

সারা দুনিয়ায়, মিউচুয়াল ফান্ডে মানে হচ্ছে ইউনিট ফান্ড ।

২০১৯ সালে, ইউনিট ফান্ড মোট  আকার ছিল ৮৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মিউচুয়াল ফান্ড একটি কোম্পানির মতো মানুষ দ্বারা সৃষ্ট একটি কৃত্রিম সত্তা।

ট্রাস্ট (Trust)  এবং রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্টের (Registration Act)-এর অধীনে এবং বিএসইসি (BSEC) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর মিউচুয়াল ফান্ড গঠিত হয়।

একজন ব্যক্তির মত একটি মিউচুয়াল ফান্ড আইনগতভাবে কাজ করতে পারে । মিউচুয়াল ফান্ড বাংলাদেশের আইনের অধীনে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে এবং তার দাবি-দাওয়া আদায়ের জন্য আদালতে মামলাও করতে পারে।

একটি কোম্পানি এবং ইউনিট ফান্ডের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হল:

কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর অধীনে কোম্পানি গঠিত হয়

মিউচুয়াল ফান্ড -নিবন্ধন আইন  ১৮৮২ এবং ট্রাস্ট অ্যাক্ট  ১৯০৮ এর অধীনে গঠিত হয়।

রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিস অ্যান্ড ফার্মস (আরজেএসসি) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করে।

বিএসইসি (BSEC) এই তহবিলের প্রধান  নিয়ন্ত্রক।

ব্যবসার প্রকৃতি কোম্পানির উপর নির্ভর করে।

মিউচুয়াল ফান্ডের প্রকৃতি হচ্ছে- ঝুঁকি এবং রিটার্ন উদ্দেশ্য অনুযায়ী  বিনিয়োগ করা।

শেয়ারহোল্ডাররা মালিকানা শেয়ার দ্বারা কোম্পানির মালিক। যে পরিমাণ শেয়ার একজন ধারন করে সে সেই পরিমাণ মালিক।

বিনিয়োগকারী সমানুপাতিক ইউনিট দ্বারা তহবিলের মালিক।

পরিচালনা পর্ষদ (Board of Directors) মূলত শেয়ারহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের একটি পর্ষদ ।

তারা ম্যানেজার নিয়োগ এবং কোম্পানি বিষয়ক পরিচালনার জন্য প্রধান সিদ্ধান্ত গ্রহণ  করেন।

বোর্ড অফ ট্রাস্টি (Board of trustee) মিউচুয়াল ফান্ডের আইনি অভিভাবক যিনি প্রধানত বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সকল কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করার দায়িত্বে থাকেন। ট্রাস্টি ফান্ডের অ্যাসেট ম্যানেজার নিয়োগ করেন।

ম্যানেজার  দ্বারা  পরিচালিত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

বিনিয়োগ এবং দৈনন্দিন কার্যক্রম অ্যাসেট ম্যানেজার দ্বারা পরিচালিত  হয়।

তিন মাস পর পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং  এটি  বছরে একবার নীরিক্ষা (audit) করা হয়।

তিন মাস পর পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং  এটি  বছরে একবার নীরিক্ষা (audit) করা হয়।  উপরন্তু, সপ্তাহের রবিবার NAV, The Daily Financial Express প্রকাশ করা হয়।

এজিএমে (AGM) পরিচালক বোর্ড  (বার্ষিক সাধারণ সভা) লভ্যাংশ (dividend) ঘোষণা করা হয়।

বোর্ড অফ ট্রাস্টি লভ্যাংশ বছর শেষে ঘোষণা করে।

 

একুশ পরিচালিত ইউনিট ফান্ডে বিনিয়োগ করলে নিচের সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে:

  • দীঘ-মেয়াদি ভাল রিটার্ন: একুশের পোর্টফোলিও ম্যানেজার (portfolio manager) প্রধানত বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীতে (asset class) যেমনঃ ফিক্সড ইনকাম সিকিউরিটিজ, স্টক, আইপিও ইত্যাদিতে আপনার টাকা বিনিয়োগ করেন । একুশের রয়েছে একদল অভিজ্ঞ বিশ্লেষক (analyst) এবং তারা যথাযথ বিনিয়োগ বিশ্লেষণ করে থাকে যা দীর্ঘ মেয়াদে ভাল রিটার্ন দেয়।

বিগত ২০ বছরে,  স্টক প্রতি বছর ১৪% CAGR  (জ্যামিতিক গড় বৃদ্ধির হার) প্রদান করে যার মানে স্টক মার্কেট গড়ে ১৪% হারে যৌগিক (compounding) রিটার্ন প্রদান করে।

এই রিটার্ন লভ্যাংশ রিটার্ন বাদ দিয়ে গননা করা।  

(রিটার্ন ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত CASPI সূচকের উপর ভিত্তি করে, সূত্র: সিএসই)

চিত্র: ১৯৮৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডিএসই ও সিএসই সূচক দ্বারা তৈরি স্টক মার্কেটের একটি বার্ষিক রিটার্ন।

সূত্র:ডিএসই/সিএসই।

  • আপনি আপনার বিনিয়োগ এর ঝুকি  কমাতে পারেন:  একুশ বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীতে (asset class) জথাঃ স্টক, ফিক্সড-ইনকাম এবং মানি মার্কেট সিকিউরিটিজ)  ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করবে ফলে, আপনার সম্পদের বহূমুখিকরন (Diversification)  হবে। আপনি যদি সরাসরি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেন,  তাহলে তা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে আপনার  জন্য তা উপযুক্ত নাও হতে  পারে।  
  • আপনি গারান্টেড  আইপিও  বরাদ্দ পারেন:  ইউনিট ফান্ড সকল প্রাথমিক গনপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ১০% (দশ শতাংশ)  সুবিধাজনক কোটা উপভোগ করে। আইপিও  প্রায়ই অস্বাভাবিক রিটার্ন প্রদান করে। বাংলাদেশে এক্সচেঞ্জএ ট্রেড করার পর কয়েক দিনের মধ্যে  আইপিও  বহুগুণ  হয়েছে। একুশের তহবিলের মাধ্যমে আইপিওর   সুবিধাভোগ করতে পারবেন যা অন্য বিনিয়োগ মাধ্যমে পাওয়া নাও যেতে পারে।
  • আপনি আয়কর  খরচ কমাতে পারেন: আপনি একুশ পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে কর কমাতে পারেন।  আপনার লভ্যাংশ আয়  ২৫,০০০.০০ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত। উপরন্তু, মিউচুয়াল ফান্ড দ্বারা অর্জিত মুনাফা করমুক্ত।  ব্যক্তির জন্য মূলধনী লাভও করমুক্ত।

উপরন্তু, আপনি একুশ পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ সঞ্চায়পত্র এর মত বিনিয়োগ ভাতা /Investment Tax Credit  হিসাবে  বিবেচনা করা  হয়।  এর ফলে আপনার আয়কর অনেক কমে যাবে।

আপনি যদি সঞ্চায়পত্র জন্য বিনিয়োগ সীমায় পৌঁছান,  তাহলে একুশের তহবিল করার সঠিক বিকল্প এবং আপনার রিটার্ন সর্বোচ্চ হতে পারে।

আপনি যে কোন সময় একুশ পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ডে কিনতে এবং বিক্রি করতে পারবেন:  আপনি যে কোন সময় NAV এ একুশ পরিচালিত তহবিল  ক্রয় এবং বিক্রি করতে পারেন।  এটি নগদ করা খুব সহজ।

একটি মিউচুয়াল ফান্ড বিভিন্ন স্টক/ বন্ড/ আইপিও ইত্যাদিতে আপনার টাকা  বিনিয়োগ করে। সময়ের সাথে সাথে এই  সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য পরিবর্তিত হয় এবং মিউচুয়াল ফান্ড অর্থ উপার্জন করে। মিউচুয়াল ফান্ড এছাড়াও  এই সকল সিকিউরিটিজ থেকে লভ্যাংশ এবং সুদ উপার্জন করে।

আপনার বিনিয়োগ সুরক্ষিত। আপনার মালিকানা সার্টিফিকেট অর্থাৎ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দ্বারা আপনি তহবিলের সমানুপাতিক  মালিক। তাই মিউচুয়াল ফান্ডে থেকে বিনিয়োগ করা স্টক, বন্ড, আইপিও ইত্যাদিরও আপনি সমানুপাতিক  মালিক।

একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে আপনার বিনিয়োগের চারটি সুরক্ষা স্তর রয়েছে:

চিত্র: আপনার টাকার চার স্তরের সুরক্ষা।

সুরক্ষার প্রথম স্তর আসে নিয়ন্ত্রক সংস্থা  অর্থাৎ Bangladesh  Securities এবং  Exchange  Commission (BSEC  www.secbd.gov.bd) থেকে।  বাংলাদেশ ব্যাংক বা বিএসইসি    থেকে যথাযথ লাইসেন্স ছাড়া কেউ টাকা স্ংগ্রহ করতে পারবে না। একুশের মিউচুয়াল ফান্ড সরকার/বিএসইসি  অনুমোদিত।

পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারী/ প্রতিষ্ঠান হিসেবে একুশকে  বিএসইসির অধীনে লাইসেন্স নিতে হয়েছে। সকল বিনিয়োগ কার্যক্রম  নিয়ন্ত্রিত হয় বিএসইসি দ্বারা। মাসিক ও ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিএসইসিতে সকল বিনিয়োগ কার্যক্রম রিপোর্ট করা হয়।

সুরক্ষার দ্বিতীয় স্তর আসে ট্রাস্টি অর্থাৎ  সন্ধ্যানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে। ট্রাস্টি একুশের মিউচুয়াল ফান্ডের আইনি  অভিভাবক।  সকল বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে  ট্রাস্টির প্রধান  কাজ  বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা।  প্রতিটি ক্ষেত্রে, ট্রাস্টি সকল বিনিয়োগ অবস্থান পর্যালোচনা করেন। আর্থিক বিবৃতি (financial statements) ট্রাস্টি দ্বারা পর্যালোচনা করা হয় । আর্থিক বিবৃতি ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে সংবাদপত্র এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।  ট্রাস্টি এছাড়াও বিএসইসির অধীনে লাইসেন্স প্রাপ্ত এবং তহবিলের সকল কার্যক্রম তারা বিএসইসিকে জানায়।

সুরক্ষার তৃতীয় স্তর আসে তত্ত্বাবধায়কের বা Custodian- Brac Bank Limited এর কাছ থেকে। আপনার মালিকানা সনদ (unit certificates) জমা রাখা হয় CDBL (Central Depository Bangladesh Limited)-এ থাকা আপনার BO Account-এ। এই কাজটি করা হয় অর্থাৎ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর সাহায্যে। এছাড়া একুশ মিউচুয়াল ফান্ডের যাবতীয় সিকিউরিটিজ  অর্থাৎ- আইপিও (IPO),  স্টক (Stock), বন্ড (Bond)- ইত্যাদির মালিকানা সনদ (ownership certificates) জমা থাকে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর কাছে। অ্যাসেট ম্যানেজারকে কোন সিকিউরিটিজ বা বিনিয়োগ বিক্রি করতে হলে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এর কাছে এনে তা সম্পাদন করতে হয়।     

একুশ   সকল  বিনিয়োগের  বিস্তারিত বিবরণ  ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ওয়েবসাইট(http://ekushwml.com/ekush-first-unit-fund/#portfolio-statement)  প্রদান করা  হয় এবং জাতীয় সংবাদপত্রে প্রকাশিত করে। আপনি যদি ফান্ডের বিনিয়োগ যাচাই  করতে চান তাহলে আপনি সহজেই আপনার বাড়ি থেকে তা করতে পারেন।

মিউচুয়াল ফান্ড ব্যাংকে রাখা আমানতের  চেয়ে বেশি স্বচ্ছ। আপনার টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা আছে সে সম্পর্কে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড  থেকে ভালোভাবে জানতে পারবেন যেটা ব্যাংকের আমানতের ক্ষেত্রে সম্ভব না । ইংরেজিতে একটা কথা আছে "ক্রেতা সাবধান/ Buyers Beware" । আপনার টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয় তা জানা আপনার দায়িত্ব।

সুরক্ষার চতুর্থ স্তর আসে একুশের পরিচালনা পর্ষদ থেকে। কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ হচ্ছে মস্তিষ্কএর মতো। যে কোন প্রতিষ্ঠান সাফল্য লাভ করে সৎ ও দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ এর জন্য।

একুশের মালিকরা সৎ ও দক্ষ ব্যবসায়ী যারা বাংলাদেশে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে নৈতিকতার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। । জনাব মোঃ ওয়ালিউল্লাহ, এফসিএ ,চেয়ারম্যান, যিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফার্ম মালেক সিদ্দিক ওয়ালির ব্যবস্থাপনা  অংশীদার (Managing Partner)। জনাব স্বদেশ রঞ্জন সাহা, এফসিএ, অ্যাপল বাংলাদেশের (Apple Banglades) মালিক এবং আলফা রেটিং লিমিটেডে এবং সাটকম আইটি লিমিটেডের ভাইস  চেয়ারম্যান।  এনাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা পরিচালনার সুনাম আছে। তাই, আপনার বিনিয়োগ নিরাপদ হাতে থাকবে।

উপরন্তু, একুশের অনেক পরিচালকরা সিএফএ (CFA)  পদবী ধারণ করে। সিএফএ বিনিয়োগ বিষয়ে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং পেশাদারী  ডিগ্রী। প্রত্যেক সিএফএ  চার্টারহোল্ডার বিনিয়োগকারিদের স্বার্থ রক্ষা এবং নৈতিকভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। সুতরাং, একুশের  সৎ ও দক্ষ পরিচালনা পর্ষদ  থেকে যেই সুরক্ষা সেটাই আপনার জন্য প্রধান সুরক্ষা।

একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে আপনার বিনিয়োগের পর, আমরা আপনাকে সাপ্তাহিক দুই ভাবে বিনিয়োগের ফলাফল জানাবো। প্রথমত, বিনিয়োগের ফলাফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে আমরা আপনাকে সরাসরি ইমেইল করব।

দ্বিতীয়ত, প্রতি রবিবার ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকায় তহবিলের NAV (নেট অ্যাসেট ভ্যালু) প্রকাশ করবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি বিনিয়োগ করেন ১১.০০ টাকায় এবং  সংবাদপত্রে আপনি NAV ১২.00 টাকা দেখতে পান, আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন যে, আপনার মুনাফা ১.00 টাকা অথবা রিটার্ন  ৯% হয়েছ।

একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ যেরকম পর্যায়ের স্বচ্ছ তা বাংলাদেশের অন্য কোন বিনিয়োগে নাই।

যখন আপনি আপনার ব্যাংকে আমানত করেন, তখন আপনার টাকা নিয়ে ব্যাংক কি করছে, তারা কাকে ঋণ দিচ্ছে তা আপনার পক্ষে যাচাই করা খুবই কষ্টকর। আপনার ব্যাংক কি পরিমাণ ঝুঁকি নিচ্ছে তা আপনার পক্ষে  বোঝা প্রায় অসম্ভব।

যখন আপনি একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন, তখন আপনি সহজেই যাচাই করতে পারবেন কোথায় আপনার  টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে আর্থিক বিবৃতি (financial statements) এবং  বিনিয়োগ বিস্তারিত (Portfolio statements) ওয়েব সাইটে  আপলোড করা হয়।  একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে যে পরিমাণ ঝুঁকি নিয়েছে তা আপনি ধারনা করতে পারবেন এই তথ্য গুলো দেখে।

আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে এই বিনিয়োগের স্বচ্ছতার উপর নির্ভর করতে পারেন।

আপনার টাকা একুশের মিউচুয়াল ফান্ডে থেকে শেয়ার বাজার, ফিক্সড ইনকাম এবং মানি মার্কেটে বিনিয়োগ করা হবে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ওঠানামা করবে  যা বিশ্বে একটি সাধারণ ব্যাপার।  খুব স্বল্প মেয়াদে,  যেমন  এক বছরের কম সময়ে, মনস্তত্ত্ব, ম্যানিপুলেশন,সামষ্টিক অর্থনৈতিক উপাদান ইত্যাদিসহ অনেক উপাদান আছে  যা শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করে।

দীর্ঘমেয়াদে স্টক প্রাইস কোম্পানির মৌলিক উপাদান যেমন মুনাফা ইত্যাদি অনুসরণ করে। একটি প্রবাদ আছে,  স্বল্প মেয়াদে,  স্টক মার্কেট একটি ভোটিং মেশিন এবং দীর্ঘমেয়াদী এটি ওজন করার মেশিন।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজার খুবই ছোট। সামান্য পরিমাণ টাকা স্টক দাম প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু, যদি আমরা মধ্য থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থাৎ ৫ বছরের বেশি সময় ধরে দেখি, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে সঠিক ক্রয়মূল্য সঙ্গে  শক্তিশালী মৌলিক কোম্পানিতে বিনিয়োগ সর্বোত্তম রিটার্ন প্রদান করবে।

এখানে জটিল ব্যাপার হচ্ছে, ভাল কোম্পানি খুঁজে বের করা এবং আরো চ্যালেঞ্জিং অংশ যুক্তিসঙ্গত মূল্যএ ক্রয় করা। একটি প্রবাদ আছে  যে,  ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে নয় বরং কেনার সময় মুনাফা করে।  

স্টকে বিনিয়োগ ঝুঁকি সময় সঙ্গে হ্রাস পায়। এই ঝুকি হ্রাস করার প্রক্রিয়াটি নির্ভর করে সম্পদ ব্যবস্থাপকের বিনিয়োগ দক্ষতা এবং বিনিয়োগ কৃত কোম্পানির মৌলিক ভিত্তির উপরে।

বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণী (asset class)  এবং বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীর মধ্যে বিভিন্ন সেক্টরের বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ  বহু- মুখিকরন (Diversification) ঝুকির কমায়।

আমাদের অতীত পারফরমেন্স আমাদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কর্মক্ষমতা  প্রমান করে,  যা  আপনার দীর্ঘমেয়াদী  সম্পদ  অর্জন করতে সহায়তটা করবে।

আমাদের বিশ্লেষকরা ক্রমাগত কম ঝুঁকি এবং উচ্চ রিটার্ন বিনিয়োগ খুঁজছেন (low risk high return)।  তারা সর্বাধুনিক জ্ঞান  (কোম্পানির অনেক বিশ্লেষক সিএফএ চার্টার হোল্ডার) এবং অত্যন্ত পেশাদার।

আমাদের বিনিয়োগ দর্শন  (investment philosophy -value investing) ভাল্যু ইনভেস্টমেন্ট যা বিনিয়োগ করার প্রমাণিত এবং নিরাপদ উপায়।

খুব স্বল্প মেয়াদে মূলধন হারানোর সম্ভাবনা আছে। দীর্ঘমেয়াদী লোকসানের সম্ভাবনা প্রধানত সম্পদ ব্যবস্থাপকের দক্ষতা এবং ফান্ডে বিনিয়োগ করে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখার শক্তির উপর নির্ভর করে।  

আপনি দুইভাবে একুশের মিউচুয়াল ফান্ড থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন:

১) লভ্যাংশ:  প্রতিবছরের ৩১ ডিসেম্বর, মিউচুয়াল ফান্ডে আর্থিক বছর সমাপ্ত করবে। নিরীক্ষিত প্রতিবেদন পাবার পর, ট্রাস্টি লভ্যাংশ  ঘোষনা করবেন। এরপর আপনার ব্যাংক একাউন্টে লভ্যাংশ বিতরণ করা হবে। মিউচুয়াল ফান্ডে রুলস ২০০১ অনুযায়ী, মিউচুয়াল ফান্ডের অর্জিত মুনাফার (Realize profit) অন্তত ৭০% লভ্যাংশ হিসাবে বিতরণ করতে হবে।

২) মূলধনী লাভ:  লভ্যাংশ প্রদান করার পর মিউচুয়াল ফান্ডের অবিতরণ করা অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করা হবে। আপনি আপনার বিনিয়োগ অবশিষ্ট বিক্রি করতে পারবেন NAV (নেট অ্যাসেট ভ্যালু)-তে। এই NAV এর মূল্য বৃদ্ধি পেলে একে ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনী লাভ বলা হয়।

মোট রিটার্ন লভ্যাংশ এবং মূলধন লাভের যোগফলের সমান হবে।

মোট রিটার্ন = লভ্যাংশ আয় + ক্যাপিটাল গেইন

 

 

 আপনার রিটার্ন আসবে চারটি উৎস থেকে যা নিচে আলোচনা হল:

১। ফিক্সড ইনকাম রিটার্ন: রিটার্নের এই অংশ আপনার বিনিয়োগের ঢাল হিসাবে কাজ করবে।  যথাযথ গবেষণার পর একুশ উচ্চ মানের ফিক্সড ইনকাম ইন্সট্রুমেন্টে (High quality) বিনিয়োগ করেন যা আর্থিক বিবৃতিতে (financial statements) যথাযথভাবে প্রকাশ করা হয়।

২। ইকুইটি রিটার্ন: একুশের মিউচুয়াল ফান্ড-এর যে অংশ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হয় এবং তা থেকে যে রিটার্ন আসবে। আগে যেমন আলোচনা করা হয়েছে,  শেয়ার বাজারে ফিরে যান, প্রতি বছর জ্যামিতিক গড় বৃদ্ধির হার  রিটার্ন (লভ্যাংশ আয় ছাড়া) ১৪%।

নিষ্ক্রিয়ভাবে (Passive investment) পরিচালিত পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা অর্থাৎ  ইনডেক্স রিটার্ন থেকে সক্রিয় পোর্টফোলিও (active investment) ব্যবস্থাপনা উচ্চতর রিটার্ন প্রদান করা উচিত।

একুশ বিশ্বাস করে যে একুশের সক্রিয় ব্যবস্থাপনা আপনার বিনিয়োগের উচ্চমান (value addition) নিয়ে আসবে।

সক্রিয় পোর্টফোলিও (active investment) ব্যবস্থাপনা থেকে অর্জিত রিটার্ন সাধারণত দুটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে- ক) সম্পদ ব্যবস্থাপকের দক্ষতা, এবং খ) সম্পদ ব্যবস্থাপকের বিনিয়োগ কৌশল।

একুশের বিনিয়োগ দর্শন (investment philosophy) দীর্ঘমেয়াদী ওরিয়েন্টেশন সঙ্গে মূল্য বিনিয়োগ (value investing)। এটি বিশ্বের কালজয়ী, প্রমাণিত এবং নিরাপদ বিনিয়োগ পদ্ধতি।

বিশ্লেষক দল এবং একুশের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার  রয়েছে এক দশকের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এবং প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা আপনার সম্পদ সর্বোচ্চ লক্ষ অর্জন করতে সক্ষম হব।  

৩। আইপিও রিটার্ন: রিটার্নের দ্রুত এবং বড় একটি অংশ আসে আইপিও থেকে।  ঐতিহাসিকভাবে, আইপিও রিটার্ন বিস্ময়কর। তালিকাভুক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে কিছু কিছু আইপিও উল্লখ্যযোগ্য রিটার্ন দিয়েছে।

৪। কর সঞ্চয়: রিটার্নের এই অংশটি আপনি একুশের মিউচুয়াল ফান্ডএ বিনিয়োগ করলে সঞ্চায়পত্রের মত কর ছাড় পাবেন। আপনি গড়ে ৩% থেকে ১০% কর কমাতে পারবেন ( এটি ব্যক্তিগত পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে)।

সংক্ষেপে, একুশের মিউচুয়াল ফান্ডএ বিনিয়োগ করলে, আপনি প্রথমে কর সঞ্চয় করবেন, তারপর ফিক্সড ইনকাম রিটার্নের  অংশ আপনাকে ঢাল হিসাবে কাজ করবে, তারপর আইপিও সহ স্টক মার্কেট রিটার্নে  আপনার সম্পদের বৃদ্ধি প্রদান করবে।

আপনি যদি একুশের সাথে  দীর্ঘসময় থাকেন,  তাহলে আপনার দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি।

কিছু সম্পদ ব্যবস্থাপক ১২%-১৫% এর বেশি রিটার্ন প্রদান করেছে।

ঐতিহাসিক বিনিয়োগ ফলাফল ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি নাও হতে পারে এবং এটি কোন মিউচুয়াল ফান্ড থেকে প্রত্যাশিত রিটার্ন সম্পর্কে কোন নির্দেশিকা প্রদান করে না।

কোন নিশ্চয়তা নেই যে, মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ সবসময় মুনাফা বা লাভ করবে- লোকসানও হতে পারে।

 

একুশ পরিচালিত মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ করলে কোনও লক-ইন পিরিয়ড নেই। যে কোন কর্ম-দিবসে আপনি অনলাইনে মিউচুয়াল ফান্ড কিনতে এবং বিক্রি করতে পারেন। 

এসআইপি-র জন্য, আপনাকে কমপক্ষে ৩ বছর বিনিয়োগ ধরে রাখতে হবে। তথাপি, জরুরী পরিস্থিতিতে আপনার আপনি মেয়াদকাল পূর্ণ হবার আগে আপনার এসআইপি বিনিয়োগ নগদ / বিক্রি করতে পারেন।

একটি মিউচুয়াল ফান্ডের NAV (নেট অ্যাসেট ভ্যালু), ফান্ড এর ধারনকৃত সম্পদের বাজার মূল্য পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে উপরে বা নিচে নামে। অতএব, যদি সম্পদের বাজার মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, তাহলে এনএভি ফান্ড ফেস ভ্যালুর/ বিনিয়োগ মূল্য নিচে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাইহোক, এই ধরনের ঘটনা সাময়িক হবে যদি পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনার দক্ষ ও দীর্ঘমেয়াদী হয়।